ফ্রিল্যান্সিং কী? কীভাবে শুরু করবেন? সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো কি কি?
ফ্রিল্যান্সিং কি?
সোজা ভাবে বললে, ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি আলাদা মাধ্যম বা উপায়, যার দ্বারা আপনারা অনলাইনে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, এমনিতে একটি চাকরি করা ব্যক্তিকে সকাল ১০ থেকে বিকেল ৬ পর্যন্ত অফিসে গিয়ে বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে হয়। কিন্তু, ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কাজ করা লোকেরা স্বনির্ভর থাকেন, তাই, ফ্রিল্যান্সিং এর মানেই হলো স্বাধীন ভাবে কাজ করা বা মুক্তপেশা, এটাও এক ধরণের ব্যবসা বলতে পারেন। এই প্রক্রিয়াতে ফ্রিল্যান্সাররা অনলাইনে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে কাজ খুঁজে নিজের সময় এবং সুযোগ মতো কাজ করেন, যারা এভাবে স্বাধীন হয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করেন, তাদের ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। আজ, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা নানান ধরণের কাজ, প্রজেক্ট বা সার্ভিস খুঁজে, সেগুলি তারা তাদের ক্লায়েন্টদের জন্য নির্ধারিত সময়ে করে দিচ্ছেন, এবং কাজ বা প্রজেক্ট করার বিনিময়ে তাদের ক্লায়েন্টরা তাদেরকে ডলার/টাকা দিচ্ছেন। অবশ্যই, আপনি যেই প্রজেক্ট বা কাজ করবেন বলে ভাবছেন, তার জন্য কত টাকা নিবেন, সেটা আপনার ক্লায়েন্টের সাথে আগেই ঠিক করে নিতে পারবেন, সঠিক ভাবে কাজ শেষ হওয়ার পর, আপনার টাকা আপনাকে দিয়ে দেয়া হবে। এই মাধ্যমে কাজ করার সুবিধে অনেক, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজে আপনি নিজেই ঠিক করতে পারবেন যে, আপনি কত সময় কাজ করতে চান, কতটুকু কাজ করতে চান এবং এই কাজ আপনি পার্টটাইম নাকি ফুল টাইম করবেন। তাছাড়া, ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নেয়া কাজগুলি করার জন্য আপনার কোনো বিশেষ জায়গার প্রয়োজন হবেনা, কারণ, প্রায় সব ধরণের কাজ করার জন্য আপনার কেবল একটি কম্পিউটার ( ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ ) এবং তার সাথে ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন, তাই, এই কাজগুলি মাক্সিমাম আপনি নিজের ঘরে বসেই করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং কে একটি বিজনেস হিসেবেও নিয়ে কাজ করে আমরা উদ্যোক্তা হতে পারি, এই ব্যাপারে পরে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সংক্ষেপে ফ্রিল্যান্সিং মানে হলো, যেই কাজের বিষয়ে বিশেষ অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা আপনার আছে, তার সাথে জড়িত কাজ অন্যদের জন্য করা বিশেষ করে অনলাইনে করা এবং তার বিনিময়ে ডলার/টাকা নেয়া। তাই, অন্যরা তাদের প্রয়োজন হিসেবে আপনাকে কাজ দিবে, এবং সেই কাজ যদি আপনি জানেন, তাহলে নির্ধারিত সময়ে আপনার তাকে সেই কাজ করে দিতে হবে। তাছাড়া, এমন ভাবেও বলা যেতে পারে যে, ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে আপনি আপনার জানা কাজ বা দক্ষতা ব্যবহার করে অন্যদের জন্য কাজ করেন। এক্ষেত্রে, আপনার এমন কিছু দক্ষতা বা কাজ জানা থাকতে হবে, যেগুলি লোকেরা আপনার থেকে কিনতে চাইবে বা করাতে চাইবে, কিছু কাজের লিস্ট এই লিংক হতে দেখতে পারেন। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে পারবেন, যেমন: ডিজিটাল মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ওয়েবসাইট/সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট, ডোমেইন হোস্টিং, ইন্টারনেট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইও, ইমেল মার্কেটিং, লিংক বিল্ডিং, ব্রান্ডিং, ব্লগ কন্সাল্টিং, সার্চইঞ্জিন মার্কেটিং, পে-পার ক্লিক, ডিজিটাল এড অপারেশনস বা যেকোনো অন্য কাজ যা আপনি জানেন এবং যা আপনাকে দিয়ে করাতে চায়, এই কাজগুলি, ঘন্টায়, ডেইলি, সপ্তাহিক বা মাস হিসেবে করতে পারবেন। পরিশেষে আমি এটাই বলবো, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে চান এবং ফ্রিল্যান্সিং থেকে অনলাইনে টাকা আয় করতে চান, তাহলে সবার আগে এটা দেখতে হবে যে, আপনার মধ্যে এমন কি বিশেষ ট্যালেন্ট, কোয়ালিটি, দক্ষতা রয়েছে যার বিনিময়ে লোকেরা আপনার ওপরে ভরসা করে কাজ দিবে। তাহলে, ফ্রিল্যান্সিং কি বা freelancer কারা, এ ব্যাপারে হয়তো আপনার ভালো একটা ধারনা হয়ে গেছে, এবার আমরা জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন?
এখন ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রায় সব জায়গায় হচ্ছে আর ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য, সবচেয়ে প্রথম যে জিনিসটা আপনার লাগবে, সেটা হলো “ইন্টারনেট“. কারণ, নিজের জন্য কাজ খোঁজা থেকে আরম্ভ করে, কাজটি তৈরি করে আপনার ক্লায়েন্ট কে জমা দেয়া, সবকিছুই ইন্টারনেটের মাধ্যমেই বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলিতে গিয়ে আপনার করতে হবে, এছাড়া, এই মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য আপনার প্রচুর নতুন নতুন কাজ বা প্রজেক্টের প্রয়োজন হবে। তার জন্য আপনাকে, নিজের কাজ বা দক্ষতার প্রচার বা মার্কেটিং ইন্টারনেটের দ্বারা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলিতে করতে হবে। নিজের দক্ষতা প্রচার বা মার্কেটিং করলে, লোকেরা জানতে পারবেন যে আপনি নির্দিষ্ট কোন কাজের বিশেষজ্ঞ বা এক্সপার্ট এবং কোন সেই কাজ আপনি তাদের জন্য করতে পারবেন, এই ক্ষেত্রে আপনার যদি একটি পোর্টফোলিও থাকে বা অনলাইন সিভি থাকে তা বেশি কাজে দিবে, এই ক্ষেত্রে আপনি লিংকডিন প্রোফাইলও কাজে লাগাতে পারবেন। এতে, ভবিষ্যতে আপনার দক্ষতার সাথে মিলে যায় এমন বিভিন্ন প্রোজেক্ট বা কাজ অনলাইন পেয়ে যাওয়ার সুযোগও বেড়ে যাবে। উদাহরণ স্বরূপ, আমি ব্লগিং, এসইও এবং ওয়েবসাইট তৈরি করতে এক্সপার্ট। এক্ষেত্রে, আমি যদি লোকদের আমার দক্ষতার বা নলেজের ব্যাপারে না জানাই, তাহলে তারা জানবেন কিভাবে যে আমি তাদের জন্য এসইও বা ওয়েবসাইট এর সাথে সম্পর্কিত কাজগুলি করে দিতে পারবো? তাই, ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার সাথে সাথে, নিজের কাজের নলেজের, অভিজ্ঞতার, দক্ষতার অনলাইন প্রচার বা মার্কেটিং করাটা অনেক বেশি জরুরি, এই জন্য আমরা বলি সবাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর নলেজ থাকা উচিত। মনে রাখবেন, অনলাইন যেকোনো মাধ্যমে যখন লোকেরা আপনাকে কোনো কাজ বা প্রোজেক্ট দিবে, তখন তারা আপনার ওপরে অনেক ভরসা করেই সেই কাজটি দিবে। তাই, আপনার কাজের মান, কাজের অভিজ্ঞতা, ভালো দক্ষতা এগুলি হবে আপনার ব্র্যান্ড বা নামের পরিচয়, এবং, আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে, একটি ভালো ব্র্যান্ড বা নাম তৈরি করতে পারলেই, অনেক লোকেরা সহজে আপনার ওপরে ভরসা করে কাজ বা প্রজেক্ট দিবে।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য নিচের দেয়া টিপস গুলি স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করুনঃ
১. নিজের লক্ষ্য সঠিক ভাবে সেট করুন
সবার আগে, আপনার লক্ষ্য সঠিক ভাবে সেট করে নিতে হবে। যেমন, আপনি এই মাধ্যমে কতটুকু কাজ করতে চান ? কতটা সময় দিতে চান ? আপনি কি, নিজের চাকরির সাথে সাথে এই কাজ চালিয়ে যাবেন এবং পার্ট-টাইম ইনকাম করবেন না কি ফুল টাইম ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করবেন। এগুলির ব্যাপারে, প্রথমেই ঠিক করে নিতে হবে। এতে করে আপনি আপনার লক্ষ অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারবেন।
২. কোন বিষয় (নিস) নিয়ে কাজ করবেন ?
দ্বিতীয়তে আপনার, নিজের কাজের টপিক, সাবজেক্ট বা নিস কি হবে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। আপনি, যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে কাজ খুঁজে করতে পারবেন। যেমন, কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডিজাইন, কোডিং, প্রোগ্রামিং এইসব কাজ, লোগো ডিজাইন, এসইও সার্ভিস, ভিডিও ক্রিয়েটিং, কনটেন্ট রাইটিং এবং মার্কেটিং, এই ছাড়া আরো অনেক কাজ নিয়ে আপনি শুরু করতে পারবেন। কিন্তু, আপনি যেই নিস বা টপিক নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ভাবছেন, সেই বিষয়ে শুরু করার আগেই ৪ টি জিনিস অবশ্যই দেখবেন।
- আপনার নেয়া টপিক এমন হতে হবে যার বিষয়ে আপনার পুরো অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং জ্ঞান রয়েছে।
- যেই কাজ করে এবং যেই বিষয়ে নতুন নতুন জিনিস শিখে আপনার ভালো লাগে সেই কাজগুলি করবেন।
- আপনি যেই নিস বা টপিক টার্গেট করে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ভাবছেন, সেই নিসের মার্কেটে কতটা প্রয়োজন এবং চাহিদা আছে সেটা জানা জরুরি।
- এমন বিষয় বা নিস নিয়ে কাজ করতে হবে, যেই বিষয়ে আপনার আগ্রহ বা প্যাসন রয়েছে, এতে, কাজ করে আপনি বিরক্ত হবেননা এবং বেশি সময় কাজ করতে পারবেন।
তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এ আসার আগে কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন, তা সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই ওপরের ৪ টি পয়েন্ট অবশ্যই মনে রাখবেন।
৩. কোন কোন ফ্রীল্যান্সিং সাইটে কাজ করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য আপনি বিভিন্ন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করতে পারবেন। এই ধরণের সাইট গুলিতে ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন ধরণের কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সারদের খুজেঁন এবং, ফ্রিল্যান্সার রা নতুন নতুন কাজ খোঁজার জন্য এই সাইট গুলিকে ব্যবহার করেন। মনে রাখবেন, এই সাইট গুলিতে হাজার হাজার লোকেরা বিভিন্ন ধরণের কাজ করানোর জন্য বিশ্বাসী ফ্রিল্যান্সারদের খুজেঁন, এবং আপনি যদি প্রথমেই নিজের ক্লায়েন্টের জন্য সময় মতো ভালো ভাবে কাজ করে দিতে পারেন, তাহলে আপনার ক্যারিয়ারে অনেক ভালো প্রভাব ফেলবে। আমি আগেই বলেছি, এই কাজে পুরোটাই বিশ্বাসের ওপরে নির্ভর। তাই, আপনি যদি সত্যি কথা বলে সঠিক সময়ে নিজের কাজ ভালো ভাবে কে জমা দেন, তাহলে এতে সহজে টাকা পেয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আপনার প্রতি অন্যদের ভরসাও বেড়ে যাবে। এতে, আপনার একটি ভালো পরিচয় তৈরি হয়ে যাবে এবং পরের বার আপনাকে কাজ দিতে ক্লায়েন্ট খুব বেশি ভাববেননা, এখন আমরা নিচে দেখে নেই, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য আমরা কোন কোন সাইট ব্যবহার করতে পারি।
বেস কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট:
আমরা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে জানলেও হয়ত সেরকম ভাবে সঠিক জানিনা যে কোন ওয়েবসাইট গুলো মূলত ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজ করে বা জানলেও হয়ত দুই একটি ওয়েবসাইট এর বেশি নয়, তাই আজ আমরা আপনাদের কাছে আপনাদের জানা অজানা এরকম দশটি ওয়েবসাইট তুলে ধরব:-
1. আপওয়ার্কঃ
2013 সালের দিকে মূলত Elance এবং oDesk মার্জ করে Upwork এর যাত্রা শুরু হয়। আপওয়ার্ক যে শুধুমাত্র একটি জনপ্রিয় ওয়েব সাইট তা নয়, বরং জনপ্রিয়তার পাশাপাশি এটি একটি অন্যতম বড় ফ্রিল্যান্সিং জবের ওয়েবসাইট, বর্তমানে প্রায় 1.5 মিলিয়ন ক্লায়েন্ট এই ওয়েবসাইটের সাথে জড়িত আছে শুধু তাই নয় , বর্তমানে এর সংখ্যা আরো বেড়ে চলেছে। আপওয়ার্কের মাধ্যমে আপনি আপনার সুপ্ত প্রতিভা গুলোকে অনেক বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরতে পারবেন, কেননা এখানে রাইটিং, কোডিং , গ্রাপিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট সহ আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। আপওয়ার্ক একটি বিশ্ব ব্যাপী বিস্তৃত ওয়েবসাইট এবং এখানে ক্লায়েন্ট রা ফ্রিল্যান্সার খোজা সহ এমনকি ফ্রিল্যান্সাররাও তাদের কাজ খুজে নিতে পারে। বর্তমানে প্রায় 180 টিরও অধিক দেশে আপওয়ার্কের বিস্তৃতি রয়েছে।
2. ফ্রিল্যান্সারঃ
ফ্রিল্যান্সার অন্যতম ফ্রিল্যান্সিং সাইট, এটি যে রকম জনপ্রিয় ঠিক তেমনি পুরোনো। ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরু হয় 2009 সাল থেকে এবং আস্তে আস্তে এটি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে যায়, বর্তমানে প্রায় 15 মিলিয়নের থেকেও বেশি ইউজার এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করছে। আপওয়ার্কের মতো ফ্রীল্যান্সার ও আপনার প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে সহায়তা করবে। এখানেও আপনি ওয়েব ডিজাইন, গ্রাপিক্স এবং কোডিং সহ আপনার পছন্দ অনুযায়ী কাজ খুজে নিতে পারেনন এবং ক্লায়ন্টরাও তাদের কাজ অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সার হায়ার করতে পারে। ফ্রীল্যান্সার সাইটে ফ্রিল্যান্সারদের 10% ফি চার্জ কাটে।
3. গুরুঃ
গুরু আরো একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েব সাইট, এখানে প্রায় 1.5 মিলিয়নের অধিক ইউজার রয়েছে, এই সাইটে প্রায় 100 মিলিয়নেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রায় 200 মিলিয়নের বেশি মানি পেইড করা হয়েছে, এই সাইটটি বিশ্বব্যাপী পরিচালিত হচ্ছে। এই ওয়েবসাইটে আপনি ঠিক একই রকম ভাবে এপ ডেভেলাপমেন্ট, আইটি এনাবেল সার্ভিসেস, ওয়েব ডিজাইন সহ প্রায় সব ধরনের কাজ খুজে নিতে পারবেন। এখানেও ক্লায়েন্ট রা কাজ পোস্ট করে এবং ফ্রিল্যান্সাররা শর্ত অনুযায়ী তাদের কাজ খুজে নেয়, এবং এই সাইটটি SafePay নামের একটি প্রোসেস ব্যবহার করে যেটি সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব।
4. পিপল-পার-আওয়ার:
পিপল-পার-আওয়ার একটি আলাদা ধরনের ওয়েবসাইট যেমনটা আপনারা গুরু, ফ্রিল্যান্সার এবং আপওয়ার্কের ক্ষেত্রে দেখেছেন, এটির নাম অনুযায়ী কাজের ধরন, অর্থাত্ অন্যান্য সাইটে আপনি যেমন নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করতে পারবেন এখানে সেরকম নয়, এই সাইটে আপনাকে hour বেসিসে বিড করতে হবে, তাই বলতে পারেন এটি একটি অন্য ধরনের ওয়েবসাইট পিপল-পার-আওয়ার থেকে আপনি দুইভাবে কাজ করতে পারেন, একটি হলো কোনো প্রোফেসনাল আগে থেকেই তার রেইট দিয়ে রাখবে এবং সে অনুযায়ী ক্লায়েন্ট তাকে কাজ দিবে, আর একটি হলো ক্লায়েন্ট নিজেই কোনো কাজ দিবেন এবং আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী সে কাজ করবেন। এই সাইটের একটি বৈশিষ্ট্য হলো এখানে বিডিং এর কোনো ঝামেলা নেই। আপনি আপনার ইচ্ছে মতো রেট দিবেন আর যার সেই রেট পছন্দ সে আপনাকে কাজ দিয়ে দিবে, এটি ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সার দুজনের জন্যই একটি সুবিধে জনক সাইট। আপনি যদি টপ রেটেড প্রোফেশনালদের খুজে পেতে চান তাহলে এই সাইটটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য।
5. স্পীডল্যান্সার:
আপনি যদি কোনো তাড়াহুড়োর মধ্যে থাকেন অর্থাৎ আপনার যদি খুব তাড়াতাড়ি কোনো কাজ করে দিতে চান বা আপনার কাজ যদি তাড়াতাড়ি করা দরকার বলে মনে করেন তাহলে এই ওয়েবসাইট শুধু আপনার জন্য, এখানে আপনি সকল কাজ ঘন্টার মাঝেই করতে সক্ষম হবেন এবং অবশ্যই এখানে ফাস্ট সার্ভিসের জন্য যথার্থ পে করা হবে। ধরুন আপনি যদি 600 ওয়ার্ডের কোনো কাজ করে দেন তাহলে আপনাকে ৭০ ডলার পে করা হবে যেটি অন্যান্য সাইটে আপনি স্বাভাবিক ভাবে মাত্র 20 থেকে 30 ডলার পেতে পারেন, তাই এই সাইটটি অত্যন্ত জনপ্রিয়, আপনি এখানে জব পোস্ট করা থেকে শুরু করে আপনার কাজের সমাপ্তি হওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ সময় প্রায় মাত্র চার ঘন্টার মতো।
6. Fiverr:
কাজ পোস্ট করে সেই কাজ যত কম রেটে সম্পূর্ণ করা সম্ভব সেটি অনেক ক্লায়েন্টদেরই উদ্দেশ্য, তাই আপনি যদি এমন কিছু ভেবে থাকেন, যে খুব সামান্য রেইটে আপনি আপনার কাজ সম্পন্ন করবেন তাহলে এই ওয়েবসাইট আপনার জন্য । এখানে আপনি খুব কম রেটে সম্পন্ন কাজ করতে সম্ভব হবেন। এই সাইটের যাত্রা শুরু থেকেই আপনি সর্বনিম্ন 5 ডলারে কাজ করতে পারবেন। এই সাইটটি আজ অনেক বছর থেকেই চালু আছে এবং এখানে আপনি 5 থেকে 10000 ডলার পর্যন্ত কাজ পেতে পারেন। তাই আপনি যদি কম রেটের কাজ করে ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য ভালো একটি মার্কেটপ্লেস, কালক্রমে দীর্ঘদিন হলেও এই সাইট তার বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে। এখনো এমন অনেকেই রয়েছে যারা 5 ডলারের কাজ অনেক সহজেই করতে চান তাই এই সাইট আপনার জন্য পারফেক্ট। এই সাইটে এমন কাজ এতই বেশি যে প্রায় প্রত্যেক 5 সেকেন্ডে একটি করে নতুন কাজের গিগ পাওয়া যায়। প্রায় 25 মিলিয়নেরও অধিক কাজ এই সাইটে সম্পন্ন হয়েছে, এটি একদিকে ক্লায়েন্টদের জন্য যেমন কম রেটে অনেক কাজ করে নিতে পারে ঠিক তেমনি নতুন ফ্রিল্যান্স প্রফেশনালদের জন্য এটি প্রচুর কাজ এর ক্ষেত্র।
7. FlexJobs:
আপনি যদি আপনার সুবিধে মতো কাজের খোজ করেন তাহলে FlexJobs আপনার জন্যই, কেননা এতে 50 টি ক্যাটাগরিতে কাজ খুজতে পারবেন। এমনকি এই কাজ গুলো করার জন্য আপনার নির্দিষ্ট সময় মেনে চলতে পারবেন অর্থাৎ আপনি পার্ট টাইম কিংবা ফুল প্রফেশনালি যে কোনো কাজ যদি করতে চান তাহলে এ দুই রকমের কাজই আপনি করতে পারবেন, তাই বর্তমানে এই সাইটটি একটি অন্যতম সাধারণ ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এখানে যেহেতু 50 টিরও বেশি ক্যাটাগরিতে কাজ পাওয়া যায় তাই কাজের কোনো কমতি দেখতে পারবেন না, আর এই সাইটে এসে আপনাকে কখনো হতাশ হতে হবে না, আপনি যদি অন্য সাইট থেকে সুবিধা করতে না পারেন তাহলে এই সাইট আপনি চেক করে দেখতে পারেন, কেননা এখান থেকে আপনি অনেক সহজেই আপনার সাথে যাবে এরকম কাজ খুজে নিতে পারবেন ।
ফ্রিল্যান্সিং জব রিলেটেড ৭০+ ওয়েবসাইট
ফ্রিল্যান্সিং জব রিলেটেড ৭০+ ওয়েবসাইট দেখতে এই লিংক ক্লিক করুন।
ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর – BytecodeSoft
ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলিতে গিয়ে কি করবেন ?
আপনি কাজ করতে গেলে হয়ত সঠিক পদ্ধতি না জেনে আশাতীত ফলাফল নাও পেতে পারেন, এক্ষেত্রে সঠিক জ্ঞান এবং পদ্ধতি জানা অত্যন্ত জরুরি, তাই কীভাবে এই ক্যারিয়ার কে আপনি সামনে এগিয়ে নিতে পারবন, তা নিয়ে কিছু আলোচনা করা হলো:
আপনার পারদর্শিতার এবং দক্ষতার বিষয়গুলিকে কে এগিয়ে রাখুন:
আপনি এতগুলো সেক্টর দেখে হয়ত বুঝে উঠতে পারবেন না যে কোথা থেকে আপনি কাজ শুরু করবেন কিংবা আপনি হয়ত অতিরিক্ত লাভের আশায় সবগুলোর পিছনে লেগে যাবেন, তবে এটি কখনোই ঠিক না। আপনি যে কোনো একটি বিষয় কে স্থির করুন। যে বিষয়ে আপনি বেশি পারদর্শী প্রথমে সে বিষয়টি তে ফোকাস করুন এবং আস্তে আস্তে আপনি অন্য বিষয়গুলোতে ফোকাস করতে পারেন , তবে প্রথমে অবশ্যই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পথে এগোতে হবে।
১০০% প্রোফাইল তৈরি করুন:
একটি মানসম্পন্ন প্রোফাইল তৈরি করুন, এই প্রোফাইলটি অনেকটা আপনার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে, আপনি যখন কাজ করতে যাবেন তখন ক্লায়েন্টরা আপনার কাজের স্যামপল দেখতে চাইবেন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা আপনাকে আপনার প্রোফাইল এবং কাভার লেটার দেখে বিবেচনা করবেন, আপনার প্রোফাইল যত উন্নত হবে আপনি তত বেশি সুবিধা পাবেন।
কাজ খুজুন ও বিড/এপ্লাই করুন:
আপনি যখন একটি শক্তিশালী প্রোফাইল তৈরিতে সক্ষম হবেন তারপরই আপনার উচিত আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ খোজা। যেই কাজগুলো আপনা কোয়ালিটির সাথে যাবে সেগুলোতে বিড করুন, এক দুটি বিড করে বসে থাকবেন না, চেষ্টা করবেন বেশি বেশি কোয়ালিটি বিড করার, এক পর্যায়ে আপনি নিশ্চয়ই আপনার কাজকে বাগিয়ে নিতে পারবেন।
কাজ সম্পন্ন করুন:
আপনি কাজ খুজে পেলে বিড করুন এবং ক্লায়েন্ট যদি আপনার বিডে খুশি হয়ে যায় তাহলে আপনি তাদেরকে কাজটি সঠিক সময়ে ডেলিভারি করুন। কেননা আপনি যদি কাজটি ফেলে রাখেন কিংবা সঠিক সময়ে ডেলিভারি করতে না পারেন তাহলে আপনার রেটিংস কমে যাবে এবং আপনি যদি ক্লায়েন্টের সাথে ভালো ব্যবহার করে তাদের মুগ্ধ করতে ব্যর্থ হন তাহলে আপনার জন্য বিষয়টি মোটেও ভালো হবে না, তাই আপনি যথাসময়ে কাজের ডেলিভারি দিন।
ফাইভ স্টার রেটিংস নিন:
পরিশেষে আপনি যখন আপনার ক্লায়েন্টকে কাজ ডেলিভারি করবেন আপনার ক্লায়েন্টের কাছে পেমেন্ট নিন এবং তাকে আপনার প্রোফাইলে ৫ স্টার রেটিংসের জন্য অনুরোধ করুন, স্বাভাবিক ভাবে কিছু ক্লায়েন্ট কাজ শেষে অবশ্যই নিজ থেকে রেটিংস দেয়, তবুও ভদ্রতা সাপেক্ষে তাদের সাথে ভালো ব্যাবহার দেখিয়ে একটি ফাইভ স্টার রেটিং এর জন্য অনুরোধ করতে পারেন, তবে তাকে আস্ক করে নিতে হবে সে আপনার কাজে খুশি কিনা? না হয় ব্যাতিক্রম হতে পারে। আপনি যদি সঠিক জ্ঞান, স্কিল এবং পদ্ধতি অনুসরণ করে ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করেন তাহলে আপনাকে কখনো হতাশ হতে হবে না। অনেকেই ভাবে যে এখানে কাজ পাওয়া বেশ শক্ত, তবে সে ধারনা মোটেও সঠিক নয় , কিন্তু আপনি যদি ভালো স্কিলের অধিকারী না হন তবে একাজ আপনার জন্য বেশ কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠবে। তাই আজ থেকে আপনিও নিজের স্কিল নিয়ে কাজ করুন, এবং নিজেকে একজন দক্ষ রূপে তৈরি করুন, পরবর্তীতে ফ্রিল্যান্সিং জগতে অংশ নিয়ে আপনিও হয়ে উঠুন একজন আদর্শ ফ্রিল্যান্সার, যা আপনার পরিচয় কে আরো বর্ধিত করতে সহায়তা করবে।
ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যাবে ?
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার কোনো সীমা নেই, কারন এটাও এক রকমের ব্যবসা, যেখানে আপনার কাছে যত বেশি কাজ আসবে এবং যত বেশি কাজ আপনি করে দিতে পারবেন, ততটাই বেশি আপনার ইনকাম হবে। PayPal এর একটি সার্ভে বা রিপোর্ট হিসেবে, ২৩% ভারতীয় ফ্রিল্যান্সাররা ৬০ লক্ষ টাকা প্রত্যেক বছরে আয় করছে এবং, বাকি ২৩% রা ২.৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার ভেতরে আয় করছেন, তাছাড়া, বাকি ৫৪ % ফ্রিল্যান্সাররা ২.৫ লক্ষ থেকেও কম টাকা বছরে আয় করছেন। তাই, সোজা ভাবে বললে, ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার বানালে লাভ আছে এবং এর থেকে আপনি বেশ ভালো টাকা ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন কিন্তু আপনাকে ভরসা করে কতজন কাজ দিচ্ছে এবং কতটা কাজ আপনি সম্পূর্ণ করতে পারছেন, সেটার ওপরে আপনার আয় নির্ভর করবে। আজ, অনলাইন এবং ইন্টারনেটের দুনিয়াতে সুযোগ অনেক রয়েছে, লক্ষ লক্ষ লোকেরা, বিভিন্ন ছোট ছোট কাজের জন্য, একজন কর্মচারী রেখে তাকে মাসে মাসে টাকা দেয়ার থেকে একজন ফ্রিল্যান্সার কে দিয়ে সেই কাজ অনেক কম টাকায় সহজে করিয়ে নিচ্ছেন। কোনো বিশেষ কাজে, আপনার যত বেশি অভিজ্ঞতা থাকবে, তত বেশি টাকা আপনি প্রত্যেক কাজের জন্য চার্জ করতে পারবেন।
কোন কোর্স শিখতে হবে ?
সোজা ভাবে বললে, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বা শেখার জন্য কোর্স করার প্রয়োজন সবার হয়না। কিছু সাধারণ জ্ঞান যেমন, কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো, কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাজ খুঁজবো এবং প্রথমেই আমাদের কি কি করতে হবে, এগুলির ব্যাপারে জেনে নিতে হবে এবং, এগুলির ব্যাপারে উপরে যথেষ্ট বলেছি। ফ্রিল্যান্সিং কোর্স বলেতো বিশেষ কিছু নেই, যদিও আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য কিছু বিশেষ আইটি কোর্স করতে পারেন যেগুলি শেখার পর আপনারা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করতে পারবেন। যেমনঃ –
- Translating course : আজকাল বিভিন্ন ভাষা জানলে আপনারা translation এর কাজ করতে পারবেন, এক্ষেত্রে ভাষা ট্রান্সলেট করার দক্ষতা আপনার জন্য অনেক কাজ এনে দিতে পারে।
- Graphic Design : আজকাল, মার্কেটিং, লোগো বানানো এবং প্রায় অনেক কাজেই গ্রাফিক ডিজাইনারদের প্রয়োজন হয়, তাই, এই কোর্স আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে।
- Website Development : এই ব্যাপারে আমি আপনাদের না বললেও চলবে, কারণ, আজকাল ওয়েবসাইট বানানোর কাজ জানাটা কতটা লাভজনক সেটা আমরা সবাই জানি।
- Article writing : আপনার যদি লেখার অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা না থাকে বা আপনি আর্টিকেল লেখার একটি কোর্স করে, ভালো ভাবে রাইটিং শিখতে পারেন, তাহলে বিভিন্ন ব্লগ (blog) বা কোম্পানির ওয়েবসাইটের জন্য লিখতে পারবেন।
- Video editing : বিভিন্ন কোম্পানি বা অনলাইন marketer রা নিজের ব্র্যান্ড এর জন্য ভিডিও এডিটিং কোরান। তাই, এই ব্যাপারে কোর্স করলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনেক কাজ পেতে পারবেন।
- Coding (PHP/Java/Css) : আজকাল, web development বা application building এর কাজে বিভিন্ন coding language এর প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে, আপনার যদি কোনো বিশেষ coding language এর জ্ঞান বা দক্ষতা থাকে, তাহলে এর সাথে জড়িত অনেক কাজ পেয়ে যাবেন।
এগুলি ছাড়াও, আরো অনেক কোর্স রয়েছে, যেগুলি করে নিজেকে একজন এক্সপার্ট বানিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর দুনিয়াতে আসতে পারবেন। আপনার মাঝে এরকম প্রশ্ন উঠতে পারে যে কীভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার তৈরি করবেন, আপনি এক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা করে রাখতে পারেন, আর আমরা আপনার সামনে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরছি যেগুলো একজন স্টার্টার হিসেবে আপনি ফলো করতে পারেন:-
- 1. আপনার লক্ষ্য নির্দিষ্ট করুন ।
- 2. একটি লাভজনক টপিক খুঁজে নিবেন।
- 3. আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী ক্লায়েন্ট সনাক্ত করবেন।
- 4. আপনার সার্ভিসের জন্য লাভজনক দাম নির্ধারণ করবেন।
- 5. একটি উচ্চ-মানের পোর্টফোলিও বা ওয়েবসাইট তৈরি করবেন ।
- 6. আপনি কি কাজ করতে পারেন তার দৃষ্টান্ত মূলক উদাহরণ তৈরি করুন (যেমন আপনার পোর্টফোলিও সাইট) ।
- 7. ভালো করে ভেবে নিয়ে আপনার প্রথম ক্লায়েন্টের সাথে কাজ শুরু করবেন।
- 8. আপনার প্রোডাক্ট / সার্ভিসের ব্যাপারে যার সাথে কাজ করবেন, সেই ক্লায়েন্টদেরকে তুলে ধরুন ।
- 9. কিভাবে নিজেকে ক্লায়েন্টের সামনে তুলে ধরবেন তা ঠিক করে নিন।
- 10. ফ্রিল্যান্স ব্যবসায়ের সাথে আপনার পার্সোনাল কাজগুলি মিশিয়ে ফেলবেন না।
- 11. যদি এগুলো একজন বিগিনার হিসেবে আপনি ফলো করতে পারেন, আশা করা যায় আপনি সফল হতে পারবেন।
সবশেষে আমাদের পরামর্শঃ
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে আয় করতে চান তাহলে পূর্ব পরিকল্পনা করাটা খুবই জরুরী, পরিকল্পনা করুন, যে কোন কাজের দক্ষতা অর্জন করুন তারপর কানে নেমে পড়ুন অবশ্যই সফল হবেন। আমাদের সম্পর্কে কোন অভিযোগ বা কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার, গুরু, এসইও ক্লার্ক, ড্রিবল, এনভাটো সহ জনপ্রিয় ৮০ টি ওয়েবসাইট দেখতে এইখানে ক্লিক করুন।
Still, have questions in mind? Or want to get a call from us?
Just fill-up the contact form or call us at +88 01609 820 094 or +88 01737 196 111 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at info@bytecodeit.com We would be happy to answer you.